শিবরাম আর্দশ স্কুল: গাছগাছালির ছায়া, ফুলের সৌরভ,শিশুদের কলকাকলী আর শিক্ষকবৃন্দের স্নেহপরশে আট সিমেন্টে তৈরী বিদ্যালয় চত্তরটি যেন একটি শিশু বান্ধব বিদ্যালয়। ১৪২০জন শিক্ষার্থীর জন্য ১৫জন সরকারি শিক্ষক ছাড়াও স্হানীয় ভাবে নিয়োগকৃত ১৪০জন শিক্ষক কর্মচারী বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহন করছে। বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন পর্যায়ের মন্ত্রী, কর্মকর্তা, বিদেশী পরিদর্শনকারী, সাংবাদিক, অভিভাবক, কমিটি, শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও অসংখ্য শুভাকাংখী প্রত্যহ আসেন বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে। তাদের সাথে মত বিনিময়ে নতুনত্ব কিছু পাওয়ার সাথে সাথে এখানকার অর্জন গুলো তারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছে। এলাকার বিদ্যালয় যে এলাকা বাসীর তারই বহি:প্রকাশ জমিদান। এছাড়া ও সহায়তাকারী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে মরহুম আ: জব্বার সরকার ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। বিদ্যালয়টি শুধু লেখাপড়া সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডে এগিয়ে যায়নি পাশাপাশি সম্পদের পরিমান ও বাড়িয়েছে। বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্রয়কৃত জমির পরিমাণ ১.০০একর যা সরকারকে ইউৎসর্গ করা হয়েছে। বর্তমানে ক্রয়কৃত জমিতে পুকুর খনন করে মৎস্য চাষ করা হচ্ছে। বিদ্যালয় যে সবার প্রধান শিক্ষক এ ধারণাটি পৌছে দিতে পেরেছেন বলেই বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ম্যানেজিং কমিটিস হএলাকা বাসীর অংশগ্রহণ উল্লেখ করার মত। প্রয়োজনের ডাকে সাড়া দিতে তারা সদা প্রস্তুত। সকল ক্ষেত্রে তারা পরামর্শদান কিংবা মতদ বিনিময় করেন প্রধান শিক্ষকের সাথে।
বামনডাঙ্গাশিববারীমন্দির, শশ্মানঘাট, সাতগিরী আব্দুল্যা দরবেশের মাজার ও বামনডাঙ্গা জামেম সজিদ।
শিববাড়ীমন্দির
শতবছরেরকালপরিক্রমায়বামনডাঙ্গাইউনিয়নস্থিতমনমথগ্রামেমন্দিররয়েছে।এইমন্দিরেপ্রতিবছরবুদ্ধপুর্ণিমাতেমহাসমারোহেতিনদিনব্যাপীবিভিন্ন পুজাওঅনুষ্ঠানহয়েথাকে।এপুজানুষ্ঠানের মধ্যেরয়েছে— প্রথম দিন অধিবাস ও সমবেত উপাসনা। দ্বিতীয় দিন উষা লগ্নে মঙ্গল আরতি, প্রভাতী শিবসঙ্গীত, শিবপূজা, বিষ্ণুপূজা, গুরুপূজা, সপ্তসতীচণ্ডীপাঠ, পুষ্পাঞ্জলি ও দুপুরে মহাপ্রসাদ বিতরণ। বিকালে ধর্মসভা ও বিশ্বশান্তি কল্প্পে সমবেত প্রার্থনা এবং রাতে স্মৃতি মন্দিরে মহা শক্তির পূজা ও সমবেত প্রার্থনা। তৃতীয় দিন শীতলা দেবীরপূজাওহোম।এউপলক্ষেবগুরা, গাইবান্ধা, রংপুর, লালমনিরহাটওকুরিগ্রামজেলাসহ বাংলাদেশেরবিভিন্নজেলাএবংভারতহতেবহুপুন্যার্থীরশুভাগমনঘটে।
আব্দুল্যা দরবেশ এর মাজার, সাতগিরী:
সুদুর দিনাজপুর, বগুরা, যশোর থেকে ১৫০ মতান্তরে ২৫০জন আওলিয়া সাতগিরী এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্য আগমন করে। তাদের মধ্য থেকে হযরত কালাই শাহ (রাঃ) গোমতী পেড়িয়ে সাতগিরী গ্রামে আসেন এবং এখানেই তিনি ইসলাম ধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটান। যার নির্দশন এখনকার এই মাজার। প্রতি বছর এই মাজারে বিভিন্ন বার্ষিক ওরশ ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে একটি এতিম খানাসহ মাজার উন্নয়নের কাজ চলতেছে।
সরোবর পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের সোনারায় বাজারের অদূরে প্রায় ১৫ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা দৃষ্টিনন্দন পার্কটিতে রয়েছে বিশাল পুকুর ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর পাশাপাশি এখানে রয়েছে ওয়াটার রাইড, প্যাডেল বোট, জলযান, ট্রেন ও স্লিপারসহ বিনোদনের নানা সুবিধা।
উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে মীরগঞ্জ-চৈতন্যবাজার-ইমামগঞ্জ বাজার হয়ে সোজা উত্তর দিকে গাইবান্ধা, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার সম্মিলন স্থানে তিস্তা নদীর তীরে ৩৫ একর জমির উপর চমৎকার এক নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশে এই 'আলী বাবা থিম পার্ক'র অবস্থান। আবহমান বাংলার অতিত, ঐতিহ্য এবং গ্রামীণ সংস্কৃতিকে বর্তমান সমাজের আবালবৃদ্ধবনিতাদের সামনে উপস্থাপনা করার প্রত্যয় নিয়ে ধূ-ধূ বালু চরে গড়ে উঠছে আলী বাবা থিম পার্ক। আলী বাবা থিম পার্কের প্রবেশ পথেই চোখে পড়বে মহান আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত নির্মাণাধীন ২০মিটার উঁচুভাস্কর্য, দেয়ালে দেয়ালে চোখে পড়বে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদ আলআকসা, পবিত্র কাবা শরীফ, হযেত ফাতেমা (রাঃ) বাড়ি, জর্ডানের মরুভূমির সেই সাহাবী গাছসহ খোদাই করা বিভিন ঐতিহাসিক নিদর্শনের চিত্র। দর্শনার্থীদের বসার জন্য রয়েছে সিমেন্ট দিয়ে গাছের আদলে তৈরী বসার চেয়ার, রয়েছে বেঞ্চ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে পরিপাটি করে সাজানো হয়েছে নয়নাভিরাম রাস্তা। আলী বাবা পার্কের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইয়ার আলী বলেছেন, ইনডোর গেমে দেখার সুযোগ থাকবে মহান আল্লাহর ৯৯ নামের উপর থ্রী ডি মুভি। সমুদ্রের বড় মাছের খাদ্য সংস্থান কিভাবে হয় এবং আগ্নেয় গিরির গলিত লাভা বা বড় বড় সাপ কিভাবে মানুষকে দংশন করতে পারে তা দেখানো হবে । পার্কের উত্তরে থাকবে পাহাড় ও পানির উপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা, থাকবে পানির ঢেউ, সেই ঢেউয়ে মেতে উঠবে দর্শনার্থীরা। পূর্ব পাশে থাকবে পুকুর, থাকবে সেই পুকুরে মাছ, সাথে লাগোয়া থাকবে পিকনিক স্পট।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস