মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য আরও দুই শিক্ষার্থী কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন জেলা প্রশাসক
বিস্তারিত
গাইবান্ধা জেলার দারিদ্রপীড়িত মেধাবী শিক্ষার্থীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছেন জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মো: আবদুল মতিন। তাই যখনই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা থমকে যাবার উপক্রম হয়, তারা ছুটে আসেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। লিমন এবং গোবিন্দের পর আজকেও জেলা প্রশাসকের কাছে মেডিকেলে ভর্তির জন্য আর্থিক সহায়তা চাইতে ছুটে এসেছিল আশিক ও নুদরাত নামের দুই শিক্ষার্থী। দারিদ্রকে জয় করে নুদরাত ভর্তির সুযোগ পেয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজে আর আশিক ভর্তির সুযোগ পেয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা নুদরাত ৭ম শ্রেণীতে পড়ার সময় তার পিতা মৃত্যুবরন করায় তার গৃহিণী মায়ের কাছে নুদরাতের পড়ালেখার খরচ বহন বিরাট এক বোঝা। সাদুল্লাপুরের ৩ নং দামোদরপুর ইউনিয়নের দরিদ্র কৃষক মোশাররফ হোসেনের সন্তান আশিকের মেডিকেল ভর্তির খরচ বহন করাও তার পরিবারের জন্য বোঝাস্বরুপ। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা সত্বেও নিজের মেধাকে পুঁজি করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ২২০৯ তম হয়েছে নুদরাত এবং ১০৫৯ তম হয়েছে আশিক। কিন্তু এই অদম্য মেধাবীদের মেডিকেল ভর্তি খরচ দেয়া তাদের পরিবারের পক্ষে বর্তমানে অসম্ভব। এমন সময়ে এই অদম্য মেধাবীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গাইবান্ধা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আবদুল মতিন। আজ ১৯/০৫/২০২১ তারিখ উক্ত শিক্ষার্থীদ্বয়কে মেডিকেলে ভর্তির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং যে কোন প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসক স্যারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য, শুভকামনা এবং দোয়া পেয়ে আপ্লুত হয়ে এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এবং ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করে।
ভর্তির জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষার্থীদের গর্বিত অভিভাবকগণ এবং সাংবাদিকবৃন্দ। আর্থিক অনটনের এই সময়ে পাশে দাড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিভাবক ও সাংবাদিকবৃন্দ।